বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ সমার্থক। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে বাংলাদেশ ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বরে পৃথিবীর মানচিত্রে স্বাধীন দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতো কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে। অনেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামেই বঙ্গবন্ধুর ভূমিকাকে সীমাবদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করেন। কিন্তু বস্তুতপক্ষে, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা, ১৯৬৯-এর গণ-আন্দোলন, ১৯৭০ সালের নির্বাচন এবং সর্বোপরি ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতাসহ প্রতিটি সংগ্রামে তিনি সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠন এবং যুক্তফ্রন্টের ২১ দফা প্রণয়নে বঙ্গবন্ধুর ভূমিকা কী ছিল এ বিষয়ে এই নিবন্ধের মূল উদ্দেশ্য।
আমরা জানি, অল্পবয়স থেকেই বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিভার প্রকাশ ঘটতে থাকে। তবে পঞ্চাশের দশক তার রাজনৈতিক উত্থানের কাল। ধীরে ধীরে তিনি হয়ে ওঠেন দূরদর্শী এবং প্রজ্ঞাসম্পন্ন এক কুশলী রাজনৈতিক নেতা।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পর থেকে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করার জন্য গোটা দেশে ঘুরে বেড়ান। মুসলিম লীগের অপশাসনে ইতোমধ্যেই পূর্ব বাংলার মানুষের মধ্যে একধরনের ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। মুসলিম লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের অপশাসন থেকে মুক্তিলাভের কৌশল হিসেবে ১৯৫৩ সালের নভেম্বরে ঐতিহাসিক যুক্তফ্রন্ট নামের নির্বাচনি জোট গঠনের ভিত্তি স্থাপিত হয়েছিল। এই জোটটি ছিল অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে জনগণের অসন্তুষ্টি, সরকারে বাঙালির নিম্ন প্রতিনিধিত্ব, তৎকালীন শাসনব্যবস্থায় দুর্নীতি ও রাজনৈতিক-দমন-পীড়নের বহিঃপ্রকাশ।
এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী এবং মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ছিলেন যুক্তফ্রন্টের স্থপতি যা মূলত তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের চারটি দল নিয়ে গঠিত আওয়ামী লীগ, কৃষক শ্রমিক পার্টি, নেজামে ইসলাম এবং গণতান্ত্রিক দল। জোটের মূল লক্ষ্য ছিল ১৯৫৪ সালের ৮-১২ মার্চের মধ্যে পূর্ব পাকিস্তান আইনসভা নির্বাচনে তৎকালীন ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে লড়াই করা।
নির্বাচনি প্রচারণায় যুক্তফ্রন্ট প্রচার করে ২১ দফার একটি ম্যানিফেস্টো। এ দফাগুলোর মধ্যে ছিল: বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করা, জমিদারিপ্রথাবিলোপ, পাট ব্যবসা জাতীয়করণ, সমবায়পদ্ধতিতে চাষবাস, উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসন, বন্যা প্রতিরোধের স্থায়ী ব্যবস্থা, কৃষির আধুনিকায়ন, শিক্ষাব্যবস্থার সংস্কার, সব কালাকানুন রহিতকরণ, সমন্বিত বেতনকাঠামো প্রবর্তন, দুর্নীতি দমন, নির্বাহী বিভাগ থেকে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ, ভাষাশহীদদের স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন বর্ধমান হাউসকে বাংলা ভাষা উন্নয়নের কেন্দ্রে রূপান্তর, ২১ ফেব্রুয়ারিকে শহীদ দিবস ও সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা এবং পূর্ণ প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা (আবুল মনসুর আহমদ, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, ২০১৭, প্রথমা প্রকাশন)।
এসব দাবি উপস্থাপন করেন এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মওলানা ভাসানী ও শেখ মুজিবুর রহমান। বামপন্থী দলগুলোর কর্মীদের সহায়তায় ফ্রন্টের নেতারা প্রত্যন্ত অঞ্চলে গিয়েও নির্বাচনের প্রচারণা চালাতে সক্ষম হন।
যুক্তফ্রন্ট যেসব বিষয় জনসমক্ষে তুলে ধরে সেগুলো ছিল ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলা ভাষার জন্য ছাত্রদের আত্মাহুতি এবং লবণ, চাল ও অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির ক্রমবর্ধমান মূল্য। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর বহু নেতা-কর্মীর ধরপাকড়ে জনসাধারণ মুসলিম লীগ সরকারের বিরুদ্ধভাবাপন্ন হয়ে ওঠে (আবুল মনসুর আহমদ, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, ২০১৭, প্রথমা প্রকাশন)।
তখন শেখ মুজিবসহ বেশির ভাগ সদস্যই যুক্তফ্রন্টের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। শেখ মুজিব বলেন, দেশে আওয়ামী লীগ ছাড়া আর কোনো দল নেই। যুক্তফ্রন্ট করা মানে কিছু মরা লোককে বাঁচিয়ে রাখা। হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী এবং মওলানা ভাসানীও যুক্তফ্রন্টের ঘোর বিরোধী ছিলেন। যুক্তফ্রন্ট হবে না এ সিদ্ধান্তের পর হোসেন শহীদ পাকিস্তানে যান। তখন বঙ্গবন্ধু জেলায় জেলায় সভা করে বেড়ান। আর এদিকে ঢাকায় বসে মওলানা ভাসানী শেরেবাংলার সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট সই করে ফেলেন।
যেখানে আওয়ামী লীগ এককভাবে জিততে পারত সেখানে নেজামে ইসলাম পার্টি, কৃষক শ্রমিক পার্টি ও গণতান্ত্রিক দলসহ বিভিন্ন নামের সংগঠন যুক্তফ্রন্টের নামে মনোনয়ন দাবি করতে লাগল। যারা দিনরাত খেটেছে আওয়ামী লীগের জন্য এমন লোক নমিনেশন পেল না, মাত্র তিন চার মাস আগেও মুসলিম লীগে ছিল, এ রকম লোক নমিনেশন পেয়ে যায়।
এখানে উল্লেখ্য যে, বঙ্গবন্ধু প্রথম থেকে যুক্তফ্রন্ট গঠনের বিরোধী ছিলেন। কারণ, তিনি জানতেন রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ যে শক্তি অর্জন করেছে, মুসলিম লীগের বিরুদ্ধে নির্বাচনে তারাই জয়লাভ করবে। কিন্তু দলের সিনিয়র নেতাদের মতামতকে সম্মান জানিয়ে তিনি এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধাচরণ করেননি (শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ঢাকা, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ২০১২)।
এদিকে নির্বাচন দিতে পাকিস্তান শাসকরা রাজি হলে যুক্তফ্রন্ট নির্বাচনের ইশতেহারে যে ২১ দফা দেয় তা পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, পশ্চিমা শোষকগোষ্ঠীর কাছ থেকে সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং সামাজিক মুক্তিই ছিল এর মূল বিষয়বস্তু। যেমন ২১ দফার প্রথম দফা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দান; তা ছাড়াও শিক্ষার উন্নয়ন, কৃষির উন্নয়ন এবং পূর্ব বাংলার স্বায়ত্তশাসন। বঙ্গবন্ধু প্রথম থেকেই বাংলা ভাষা ও বাঙালি সাংস্কৃতিক সত্তা জাগ্রত করতে সচেষ্ট ছিলেন। পূর্ব বাংলার পূর্ণ স্বাধীন রাজনৈতিক সত্তা- তার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের প্রতিফলন দেখা যায় তার উপস্থাপিত ছয় দফায়।
নির্বাচনের বিজয়লাভের পরে, যুক্তফ্রন্টের নেতা একে ফজলুল হককে ১৯৫৪ সালে ৩ এপ্রিল প্রাদেশিক গভর্নর মন্ত্রিসভা গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। তবে মন্ত্রিসভা গঠন নিয়ে প্রথমেই দ্বন্দ্ব বাধে। রাজনৈতিক নেতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু কতটা বিশাল ছিলেন তার পরিচয় পাওয়া যায় ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার পর মন্ত্রিসভা গঠনের সময় মন্ত্রিত্ব ভাগাভাগি করা নিয়ে জোটের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয় তখন।
আওয়ামী লীগ থেকে আতাউর রহমান খান ও শেখ মুজিবুর রহমানের নাম প্রদান করা হলেও শেখ মুজিবকে মন্ত্রিত্বে নিতে অনীহা প্রকাশ করেন ফজলুল হক । বঙ্গবন্ধু তার আত্মজীবনীতে লিখেছেন-
‘হক সাহেব শহীদ সাহেব ও ভাসানী সাহেবকে বলেছিলেন আমি শেখ মুজিবকে আমার মন্ত্রিত্বে নিব না।’
তার উত্তরে শহীদ সাহেব বলেছিলেন, আওয়ামী লীগের কাকে নেয়া হবে না হবে সেটাতো আমি ও ভাসানী সাহেব ঠিক করব, আপনি যখন বলেছেন নান্না মিয়াকে ছাড়া আপনার চলে না। তখন আমরাও তো বলতে পারি শেখ মুজিবকে ছাড়া আমাদের চলে না।
সে আমাদের দলের সেক্রেটারি। মুজিব তো মন্ত্রিত্বের প্রার্থী না। এ সকল কথা বললে পার্টি থেকে বলতে পারে’ (শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ঢাকা, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ২০১২ পৃ. ২৯ )। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তখন শহীদ সাহেব এবং ভাসানী সাহেবকে বলেছিলেন- ‘আমাকে নিয়ে গোলমাল করার প্রয়োজন নেই। আমি মন্ত্রী হতে চাই না। আমাকে বাদ দিলে যদি পুরো মন্ত্রিত্ব গঠন করতে রাজি হয় আপনারা তাই করুন। (শেখ মুজিবুর রহমান, অসমাপ্ত আত্মজীবনী, ঢাকা, দি ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড, ২০১২ পৃ. ২৯ )’।
এ থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু কতটা ক্ষমতাবিমুখ ছিলেন। বয়সে তরুণ হলেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ছিল অনেক বেশি। আর এই কারণেই তিনি যুক্তফ্রন্টের বিরোধিতা করেছিলেন। কারণ, তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলগুলোকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ যে নির্বাচনি জোট করতে যাচ্ছে সেই জোট বেশি দিন টিকবে না। এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, আওয়ামী লীগ তখন রাজনৈতিক দল হিসেবে যে রকম শক্তিশালী ছিল তাতে একা নির্বাচন করলেও নির্বাচনি বৈতরণী খুব সহজে পার হতে পারত। কিন্তু যুক্তফ্রন্ট গঠন করার ফলে আওয়ামী লীগের বেশ কিছু ত্যাগী নেতা নির্বাচনে মনোনয়ন পেলেন না, যা তাদের ওপর একধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলে যেটি প্রকারান্তরে দলের জন্য খারাপ হতে পারে।
এ থেকে বোঝা যায় যে, বঙ্গবন্ধু কতটা দূরদর্শীসম্পন্ন নেতা ছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কেন তিনি যুক্তফ্রন্টের বিরোধিতা করেছিলেন তা স্পষ্ট হয়ে যায় যখন তিন মাস পরে ১৯৫৪ সালের ৩০ মে গভর্নর জেনারেল গোলাম মোহাম্মদ পূর্ব পাকিস্তানের ফজলুল হকের মন্ত্রিসভা ভেঙে দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের গভর্নর শাসন জারি করলেন (আবুল মনসুর আহমদ, আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর, ২০১৭, প্রথমা প্রকাশন)।
আমরা এটাও জানি, বঙ্গবন্ধু বেশির ভাগ সময় ক্ষমতার বাইরে থেকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নের জন্য কাজ করেছেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়েও ক্ষমতায় যেতে পারেননি। এরপরে ১৯৭২ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে দেশে ফিরে মাত্র সাড়ে তিন বছর ক্ষমতায় ছিলেন। এই সময়ে বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু ঘাতকের নির্মম বুলেটের আঘাতে সপরিবারে তাকে হত্যা করা হলে সেই স্বপ্ন বাস্তব লাভ করেনি। রাজনীতিবিদ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর বিশালতাকে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান তার একটি লেখায় উল্লেখ করেছেন-
‘One of the remarkable features of his political life was his transformation from an ordinary rank and file worker of a political party to an unparalleled leader of millions of people. Bangabandhu possessed outstanding organizational capacity; at the same time he was a great orator. Generally we do not find such a combination of qualities in one leader (Raunaq Jahan, The Political philosophy of Bangabandhu, Dhaka Tribune, 10 June 2019)’.
বঙ্গবন্ধুর কখনও জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে খুব বেশি ভাবেননি। তিনি ভেবেছিলেন কীভাবে সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যায় এবং দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো যায়। এই দুটি ছিল তার জীবনের মূল লক্ষ্য। তার কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়েই আমরা তার রাজনৈতিক চিন্তাধারা উপলব্ধি করতে পারি। আর এই কথার সত্যতা মেলে মাত্র তিনটি বাক্যেই যেখানে বঙ্গবন্ধু তার আত্মপরিচিতি ও মূল্যবোধ অত্যন্ত পরিষ্কার করেছেন। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র প্রথমেই বঙ্গবন্ধু লিখেছেন: ‘একজন মানুষ হিসাবে সমগ্র মানবজাতি নিয়েই আমি ভাবি। একজন বাঙালি হিসাবে যা কিছু বাঙালিদের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই আমাকে গভীরভাবে ভাবায়। এই নিরন্তর সম্প্রীতির উৎস ভালোবাসা, অক্ষয় ভালোবাসা যে ভালোবাসা আমার রাজনীতি এবং অস্তিত্বকে অর্থবহ করে তোলে’ (অসমাপ্ত আত্মজীবনী, মে ৩, ১৯৭৩)।
যেকোনো নির্দিষ্ট ফ্রেমে বন্দি করে বঙ্গবন্ধুর বিশালতাকে ব্যাখ্যা করা সম্ভব নয়। বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক সংগ্রামে তিনি নিজের জীবন বাজি রেখে মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য সংগ্রাম করে গেছেন। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট গঠন এবং ২১ দফা প্রণয়নকে মনেপ্রাণে মেনে নিতে না পরলেও সেই প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করেছেন। দলীয় সিদ্ধান্তকে মেনেই নির্বাচনে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এর মাধ্যমেই তার রাজনৈতিক বিশালতার পরিচয় ফুটে ওঠে।
লেখক: অধ্যাপক-গবেষক, প্রাবন্ধিক।